|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে সালাহউদ্দিন আহমদ
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপে দ্বিতীয় দিনের আলোচনা শুরু হয়েছে আজ। বুধবার (১৮ জুন) বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে এ আলোচনা শুরু হয়।
এদিন, বেলা ১১টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে যোগ দেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি এসে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শেষে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আমাদের প্রস্তাবের বাইরে বহু প্রস্তাবে একমত হয়েছি। সেটা কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করলে দেখবেন। নীতিগতভাবে একমত হয়েছি, আংশিকভাবে একমত হয়েছি। জুডিসিয়ালি, ম্যাজিস্ট্রেসি, দুদকের ক্ষেত্রে এবং আরও অন্যান্য ক্ষেত্রে একমত হয়েছি। যেমন নির্বাচনী ব্যবস্থা ক্ষেত্রে বহু বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি, যেগুলো আমাদের প্রস্তাবের বাইরে ছিল।
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপে দ্বিতীয় দিনের আলোচনা শুরু হয়েছে আজ। বুধবার (১৮ জুন) বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে এ আলোচনা শুরু হয়।
এদিন, বেলা ১১টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে যোগ দেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি এসে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শেষে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আমাদের প্রস্তাবের বাইরে বহু প্রস্তাবে একমত হয়েছি। সেটা কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করলে দেখবেন। নীতিগতভাবে একমত হয়েছি, আংশিকভাবে একমত হয়েছি। জুডিসিয়ালি, ম্যাজিস্ট্রেসি, দুদকের ক্ষেত্রে এবং আরও অন্যান্য ক্ষেত্রে একমত হয়েছি। যেমন নির্বাচনী ব্যবস্থা ক্ষেত্রে বহু বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি, যেগুলো আমাদের প্রস্তাবের বাইরে ছিল।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো ডায়াস ফেরেসের এক সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপার্সন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। সোমবার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটি ও চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত রয়েছেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়সহ বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আগামী দিনের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
নির্বাচনের আগে কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রীয় সংস্কার এবং জুলাই গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান না হলে দেশের কোনো নির্বাচনই বিশ্বাসযোগ্য হবে না। এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর পূর্ব থানা জামায়াত আয়োজিত তীব্র তাপদাহে তৃষ্ণার্ত পথচারী ও শ্রমিকদের মাঝে সুপেয় পানি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. রেজাউল করিম বলেন, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের পতনের পর একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু সেই সরকারের কার্যক্রমকে ব্যর্থ করতে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারের পথে তারা বাধা সৃষ্টি করছে।
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, শুধু ক্ষমতার হাতবদলের জন্যই জুলাই-আগস্ট বিপ্লব হয়নি। এ বিপ্লবের মূল লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্রে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা। তাই কেবল নির্বাচন নয়, বরং তার পূর্বে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কার এবং বিচার নিশ্চিত করাই হবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রধান শর্ত।
তিনি বলেন, জামায়াত একটি গণমুখী, কল্যাণকামী ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। দেশের যেকোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জামায়াত সবসময় অগ্রসৈনিকের ভূমিকা রেখেছে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগেও সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছে।
তীব্র দাবদাহে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সমাজের আত্মসচেতন ও বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সুপ্ত মানবতাবোধ নিয়ে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা সাধ্যমতো খরায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান। আমাদের এই কর্মতৎপরতায় যদি কেউ সামান্য উপকার পান, সেটাই আমাদের বড় সার্থকতা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদপুর পূর্ব থানা জামায়াতের আমির মশিউর রহমান। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি আনিসুর রহমানসহ ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের নেতারা।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠককে ইতিবাচক অভিহিত করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জানিয়েছে, এই সমঝোতা রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখবে।
শুক্রবার (১৩ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বৈঠক একটি বড় অগ্রগতি। বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল। প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এপ্রিলের সম্ভাব্য সময়সূচি ঘোষণার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। এই বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তাব আসা এবং প্রধান উপদেষ্টার শর্তসাপেক্ষে তা বিবেচনার অঙ্গীকার একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। এজন্য আমরা উভয় নেতাকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, সংস্কার, বিচার ও জুলাই সনদ বিষয়ে বিএনপির নীতিগত সমর্থন পাওয়া গেছে—এটি দেশের ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রচর্চার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আমরা বিশ্বাস করি, এই প্রক্রিয়া স্বৈরতন্ত্রমুক্ত একটি বাংলাদেশের ভিত্তি গঠনে সহায়ক হবে।
আশাবাদ ব্যক্ত করে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, আজকের এই সংলাপের পর রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমিত হবে, অনিশ্চয়তা দূর হবে এবং একটি বৃহত্তর ঐকমত্য গড়ে উঠবে।
তবে বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের বক্তব্যের ভাষা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। তার ভাষায়, প্রফেসর ইউনূস হলেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান। অন্যদিকে তারেক রহমান একটি রাজনৈতিক দলের নেতা। এমন বাস্তবতায় তাদের সংলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও একে ‘যৌথ বিবৃতি’ বলা রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিকোণ থেকে শোভনীয় নয়।
তিনি আরও বলেন, দেশের সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। এককভাবে বিএনপির মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ গ্রহণযোগ্য নয়।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, জামায়াত একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী মূলত সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল স্তরে সৎ ও যোগ্য লোকের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অতীতে শহীদ আমিরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুজাহিদ আজ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। অথচ জোট সরকারের আমলে তাদের পরিচালনাধীন মন্ত্রণালয়গুলো দুর্নীতিমুক্ত ছিল বলে ফ্যাসিবাদের সময়ও সেটা ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছেন।
শুক্রবার (৩০ মে) চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে দক্ষিণ জেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত সদস্য (রুকন) শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে যে লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, স্বাধীনতা পরবর্তী শেখ মুজিব বাকশাল কায়েম করে পুনরায় ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে। এভাবে জাতির ওপর একের পর দেশবিরোধী শাসক দেশকে অতল গহ্বরে নিয়ে যায়। সর্বশেষ ফ্যাসিস্ট নেত্রীর সাথে দেশের সম্পদ লুট করে ৩০০ আসনের এমপিও পলাতক রয়েছে। এমনকি উপজেলা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরাও পলায়ন করেছেন। ইতিহাসে এরকম ঘটনা সম্ভবত কোথাও ঘটেনি।
তিনি বলেন, এখন জনগণ জামায়াতের দিকে আস্থা বিশ্বাস নিয়ে তাকিয়ে আছে। সেই বিশ্বাসের জায়গা থেকে আমাদের জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। আশা করি দেশ নৈতিকভাবে পরিচালিত হলে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ উজ্জ্বল হয়ে উদ্ভাসিত হবে, ইনশাআল্লাহ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক জাফর সাদেক, চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। এতে দারসুল কোরআন পেশ করেন জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও চট্টগ্রাম-১৩ সংসদীয় আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মাহমুদুল হাছান চৌধুরী।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হকের সঞ্চালনায় শিক্ষাশিবিরে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমির অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ, ড. হেলাল উদ্দীন মুহাম্মদ নোমান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাকারিয়া, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবু নাছের, সাংগঠনিক সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল হোসাইন, অধ্যাপক মাহমুদুল হাছান চৌধুরী, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা কামাল উদ্দীন, নুরুল হক, ইঞ্জিনিয়ার শহীদুল মোস্তফা ও আরিফুর রশীদসহ উপজেলা ও থানা নেতৃবৃন্দ।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আগে সংস্কার, তারপর বিচার, তারপর নির্বাচন- দুনিয়া কিন্তু এভাবে চলে না। এই বাস্তবতাও সরকারকে উপলব্ধি করতে হবে। এখানে ভুল ধারণা সৃষ্টি করা হচ্ছে, একটা প্রতিপক্ষ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। কারা করছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে দলগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ মিলনায়তনে ‘তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘আমার ভয় হচ্ছে, আমরা আবার নতুন কোনো ট্র্যাপে পড়ে যাচ্ছি কিনা’ এমন প্রশ্ন রেখে মঈন খান বলেন, আমরা একটা পরিবর্তন চেয়েছি। কিন্তু সেই পরিবর্তন এমন না হয় যেন আমরা আবার একটি ট্র্যাপের ভেতরে পড়ে যাই। আমরা দুনিয়ার সব সমস্যা সমাধান করতে চাচ্ছি। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার কোনো পরশ পাথর নয় যে ছুয়ে দিলেই সব সমাধান হয়ে যাবে। এটা সহজ নয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, রাজনীতির গতি-প্রকৃতি বিচিত্র। প্রত্যেক রাজনীতিকের নৈতিক দায়বদ্ধতা থাকতে হবে। প্রতি পাঁচ বছর পর জনগণের কাছে পরীক্ষা দিতে হয়। আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্র বলেছিল, আর কাজ করেছিল স্বৈরতন্ত্র। বিগত সময়ে প্রহসনের নির্বাচনের নামে এমপি-মন্ত্রী হয়ে সংসদকে নাট্যশালায় পরিণত করেছিল। এভাবে রাজনীতি হয় না, হবে না। তরুণরা নিজেদের অধিকার ও যোগ্যতা দিয়েই দেশ পরিচালনা করবে। এটা জোর করে বা কোটা দিয়ে হবে না।
মঈন খান বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তারুণ্য শক্তি দেখেছিলাম, রাজপথে রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। আজকে সেই তরুণরা কোথায় কী করছে? ৫ আগস্টের পরবর্তী বাংলাদেশ, আজকের বাংলাদেশ সম্পূর্ণ আলাদা ছিল। সেদিন নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল। আজকে নয় মাস পর সেই যাত্রা থেমে যাবে অথবা উল্টো পথে যাবে সেটা কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সহ্য করবে না। সুতরাং অস্থিরতা থেকে বের হয়ে আসতে হলে আমাদের সঠিক পথে যেতে হবে। এবং সেই দায়িত্ব তরুণদের নিতে হবে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার জন্য চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল দেশটিতে সফরে গেছে। শনিবার রাতে একটি ফ্লাইটে চীনের উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তারা। বিএনপির মিডিয়া সেল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
‘প্রতিবেশী দেশগুলোর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সংলাপ’ শীর্ষক সম্মেলনটি ২৫-২৬ মে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম আকবর খোন্দকার। প্রতিনিধি দলে আরও আছেন দলের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক (প্রোগ্রাম) ডা. শাহ মোহাম্মদ আমান উল্লাহ। বিএনপির প্রতিনিধি দলটি সম্মেলনে চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, উত্তরপূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়ার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে অংশগ্রহণ করবে।
বিএনপির প্রতিনিধি দলটি এই সম্মেলনের পর আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বেইজিং এবং ইউনান প্রদেশে চীনা আধুনিকায়নের বিভিন্ন দিক সরেজমিনে দেখার সুযোগ পাবেন।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে বিএনপিসহ সাতটি রাজনৈতিক দল মিলিয়ে একটি প্রতিনিধি দল দেশটি সফর করে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সরকার পরিবর্তনের ৯ মাস পার হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে দিতে চান। আমরা তার কথায় বিশ্বাস রাখতে চাই।
শনিবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে মগবাজারে ফালাহ মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশন হয়। সেখানে তিনি আরও বলেন, আমরাই তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছি। তিনি তো জোর করে এই দায়িত্ব নেননি। আমাদের দায়িত্ব তাকে সহযোগিতা করা। সংঘাত-কাদা ছোড়াছুড়ির মধ্য দিয়ে জাতিকে আর অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া সমীচীন হবে না। এর জন্য প্রয়োজন অর্থবহ ডায়ালগ। এটার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা যতটুকু সম্ভব তাকে সহযোহিতা করেছি। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই সরকার যেহেতু আমাদের সবার সরকার। আসুন আমরা এই সরকারকে সহযোগিতা করি। সরকার যদি এই সহযোগিতা গ্রহণ করে তাহলে সমস্যা সমাধান সুন্দরভাবে হবে।
জামায়াত আমির বলেন, বর্তমানে দেশে চলমান পরিস্থিতির কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। আমরা মনে করি অর্থবহ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই বর্তমান সমস্যার সন্তোষজনক সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব।
আমরা এখন জাতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে অবস্থান করছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনা দেশবাসীকে বিচলিত করেছে। আমরা বিচলিত না হলেও সতর্ক দৃষ্টি রাখছি।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলাম কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাই সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বানের জন্য। জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে আশা করি সেই বৈঠকে ভালো কিছু বের হয়ে আসবে।
আওয়ামী লীগের নানা ধরনের অন্যায়ের উদাহরণ টানার পর তিনি বলেন, ৭১ থেকে এই পর্যন্ত অনেক কিছু অর্জন করার ছিল। হয়ত অনেক প্রত্যাশা পূরণও হয়েছে। কিন্তু স্বাধীন দেশে জনগণের মূল জায়গায়গুলো ফাঁকা থেকে গেছে। দেশে অনেক কিছুই হয়নি। ২৪ এ নির্মম কায়দায় যা করা হয়েছে তার সাক্ষী বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব। আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা টানা ১৫ বছর দুঃশাসন উপহার দিয়েছেন।
একটি ভালো নির্বচানের প্রত্যাশা রেখে তিনি বলেন, আমরা দুটা রোডম্যাপ চেয়েছিলাম। একটা সংস্কারের ও আরেকটি নির্বাচনের। কিন্তু কোনো রোডম্যাপ আসেনি। আমরা দাবি জানাই, রোডম্যাপ প্রকাশ করা হোক। তাহলে জনগণের আস্থা ফিরে আসবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দুটি রোডম্যাপ জরুরি।
আওয়ামী লীগের বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিচারের কোনো প্রক্রিয়া দেখছি না। বিচার না হলে অপরাধ বৃদ্ধি পাবে। বিচারের নামে অবিচার আমরা চাই না। মানবিক করিডোরের বিষয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা বলেছি এর সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ জড়িত। এটা তাড়াহুড়ো করে করা যাবে না। এখন দেশে পার্লামেন্ট নেই। সব পক্ষের সঙ্গে না বসে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। রাজনৈতিক দল, সিকিউরিটি এক্সপার্টের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। সব থেকে ভালো হয় নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া।
চট্টগ্রাম পোর্টের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশের লাইফলাইন এই বন্দর। দেশের বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র। হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
সেনাবাহিনীর নানা কাজের প্রশংসা করে জামায়াত আমির বলেন, কোনো কার্যক্রমের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হোক তা চাই না। সেনাবাহিনীকে নিয়ে যেকোনো ধরনের মন্তব্য করা থেকেও বিরত থাকা উচিত।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে মৎস্য ভবন, কাকরাইল মসজিদ এবং প্রধান উপদেষ্টার বাস ভবন যমুনায় যাওয়ার রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন তার অনুসারীরা।
এছাড়া তার অনুসারীদের আরেকটি অংশ ডিএসসিসির নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। এতে মৎস্য ভবন ও নগর ভবনের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নগর ভবনের সামনে এসে জড়ো হন ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা। তাদের আন্দোলনের কারণে নগর ভবনের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নগর ভবনে থাকা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বন্ধ।
সকাল ১০টার দিকে ইশরাক হোসেনের সমর্থকদের একটি অংশ মিছিল নিয়ে উচ্চ আদালত তথা মৎস্য ভবনের সামনে অবস্থান নেন। তারা অবিলম্বে ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দাও, দিতে হবে, দফা এক দাবি এক, আসিফের পদত্যাগ, আসিফ ভূইয়ার কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, শপথ নিয়ে টালবাহানা চলবে না চলবে না স্লোগান দেন। এ কারণে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ দেখা গেছে।
মৎস্য ভবনের সামনে আন্দোলনে অংশ নেওয়া লালবাগের গোলাম কাদের বলেন, ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা এই জায়গা ছাড়বো না। আজ উচ্চ আদালতে তার মেয়র শপথ নেওয়া নিয়ে একটা রিটের রায় হবে। আমরা রায়ের জন্য অপেক্ষা করছি।
এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সরকারের সাবেক সচিব মশিউর রহমান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ২০২০ সালের সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ইশরাক হোসেন বিপুল ভোট পেয়েছিলেন। কিন্তু তৎকালীন নির্বাচন কমিশন ইশরাক হোসেনের পরিবর্তে শেখ ফজলুর তাপসকে বিজয় ঘোষণা করেন। এখন সেই নির্বাচন বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে বিজয়ী করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়াচ্ছে না। এ কারণেই আমরা সড়কে অবস্থান নিয়ে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দাবি আদায়ের চেষ্টা করছি।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
টানা কয়েকদিন ধরে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব বুঝে দেওয়ার দাবিতে ঢাকায় আন্দোলন, ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন তার সমর্থকরা। তবে কাউকে অসম্মান করে তাদের কোনো কিছু করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২০ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইশরাক হোসেন একটি স্ট্যাটাসে এ আহ্বান জানান।
তিনি লেখেন, ‘আমি আন্দোলনরত ঢাকা দক্ষিণ সিটির জনগণ ও ভোটারদের বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের বাদে অন্য কোন রাজনৈতিক দলের নেতার বিরুদ্ধে যত ক্ষোভ থাকুক না কেন, আমরা তাদের অসম্মান হয় এরকম কিছু করা থেকে শতভাগ বিরত থাকি। আমরা সমালোচনা করি, রাজনৈতিক বক্তব্যর মধ্য দিয়ে তাদেরকে সতর্ক করি, তাদের ভুল ধরিয়ে দেই কিন্তু অবশ্যই ভাষাগত শিষ্টাচার মেনে।’
‘অনেক তো দেখে আসছি আর পেছনের দিকে দেশটাকে নিতে চাই না। অবশ্যই আমরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করব, দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিবো, নির্বাচনী স্পষ্ট রোডম্যাপ আদায়ের মাধ্যমে আমাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য পদক্ষেপ নিব। এমনকি বর্তমানে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের পদত্যাগে কঠোর গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও করবো।
কিন্তু ভাষা ও ব্যবহার জাতে শত্রুও সমালোচনা করতে না পারে।’
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রেক্ষাপটে উদ্বেগ প্রকাশ করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, সরকার যেভাবে চলছে, এভাবে একটা সরকার চলে না, এমনকি একটা দোকানও চলে না।
রোববার (১৮ মে) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এসময় দেশের চলমান অবস্থা, সড়ক অবরোধ, মামলার জট, প্রশাসনিক অস্থিরতা এবং জাতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সংকীর্ণতার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
অলি আহমদ বলেন, দেশের প্রেক্ষাপট নিয়ে সবাই চিন্তিত, সবাই মঙ্গল চায়। ঢাকা অচল প্রায়। যার দাবি যেটা আছে সেটা নিয়ে রাস্তায় নেমে গেছে। কেউ মেয়র হতে চায়, চাকরি তেকে বরখাস্ত হয়েছে চাকরি নিতে চায়, রাস্তা বন্ধ। দাবি-দাওয়া সঙ্গত কি না তার ধারে কাছেও নেই। নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য ১৮ কোটি মানুষকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।
অলি বলেন, আমার ইচ্ছে হলো আমি রাস্তায় বসে গেলাম। সরকার একটা নমনীয় ভাব নিয়ে চলছে। বিএনপির বিরুদ্ধে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে মামলা, আজকে ৯ মাস পর্যন্ত সেই মামলার সমাধান হয়নি।
বিএনপির সাবেক এ নেতা বলেন, বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি চলছে। হয়তো আমার নাম ব্যবহার করছে, হয়তো আমার দলের নাম ব্যবহার করছে, সরকারের কাজ হলো তাদেরকে ধরা। এখানে কারও প্রতি দয়া দেখিয়ে দেশ চালানো চলবে না।
তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার তাদের (সরকারের) কোন অধিকার নেই। দেশের বড় রাজনৈতিক দলের নেতাদেরকে ডেকে দেশের বড় বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। সশস্ত্র বাহিনী একটা বড় হোল্ডার। তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আমি দল বলবো না, গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
এসময় আগামী বুধবার প্রেস কনফারেন্স করার কথাও জানান তিনি।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বৈঠক শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টার পর জাতীয় সংসদের এলডি হলে এ বৈঠক শুরু হয়।
এর আগে এলডি হলে প্রবেশ করেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
এরপর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বৈঠকে অংশ নিতে হলে প্রবেশ করেন। তাদের মধ্যে ছিলেন- দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বৈঠক সঞ্চালনা করছেন। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে প্রথম দফায় বৈঠক করেছিল দলটি৷
দেশের মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করছে ঐক্যমত কমিশন।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমাবেশ জনস্রোতে পরিণত হয়েছে। দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আগে থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের জেলা থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা যোগ দিচ্ছেন সমাবেশে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সমাবেশস্থলে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয়েছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে এই শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
নেতাকর্মীরা ব্যানার, মাথায় নানা রঙের টুপি, দলীয় টি-শার্ট পরে সমাবেশস্থলে অবস্থান করছেন। জায়গায় জায়গায় চলছে স্লোগান, দলীয় সংগীত আর ঢাক-ঢোলের বাদ্য।
সমাবেশস্থলে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আহ্বায়ক হেলাল খান, সদস্যসচিব জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ।
মঞ্চে জাসাসের শিল্পীরা পরিবেশন করছেন দেশাত্মবোধক ও গণসংগীত। এক ধরনের আন্দোলনের আবহ তৈরি হয়েছে গোটা নয়াপল্টন এলাকায়। অনেকেই বলছেন, এটি শুধু শ্রমিকদের দাবি-দাওয়ার সমাবেশ নয়, এটি একটি রাজনৈতিক বার্তারও বহিঃপ্রকাশ।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সমাবেশস্থলে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও জিরো পয়েন্ট থেকে পল্টনমুখী সড়ক সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা রাখা হয়েছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বাংলাদেশি এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে এই ঘটনার নিন্দা জানান। তিনি বলেন, রোববার মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে গোপালপুর গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে মো. ওবায়দুলের মৃত্যু অত্যন্ত মর্মান্তিক।
অধ্যাপক পরওয়ার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ভারতীয় বিএসএফ ঠান্ডা মাথায় বাংলাদেশি নাগরিকদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে চলেছে। গত ৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত বিএসএফ ১৬ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে এবং ৪৮ জনকে আহত করেছে। বাংলাদেশ সরকার প্রতিবাদ জানালেও ভারত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করছে না।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ভারতের এই ধরনের একগুঁয়েমির কারণে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে না। বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাইলে ভারত সরকারকে অবশ্যই সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে।
এসময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি সীমান্ত হত্যা বন্ধ এবং সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণের জোরালো আহ্বান জানান।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই দাবি জানান।
জাহিদুল ইসলাম লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি, আমাদের প্রিয় রাহাবার এটিএম আজহারুল ইসলাম ভাইকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই মাজলুম ব্যক্তিত্বের ওপর ফ্যাসিস্ট হাসিনা যে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে, তা ৩৬ জুলাই পরবর্তী সময়ে কোনোভাবেই চলতে পারে না। হাইকোর্ট দেখানোর রাজনীতি কি শুধু এমন মাজলুমদের জন্যই চলে?’
শিবির সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা ধৈর্য ধারণ করবো এটা যেমন সত্য, ঠিক তেমনি কোনো অন্যায় ও জুলুম মেনে নিতে পারি না। আমাদের উদারতাকে দুর্বলতা ভাববেন না। মাইন্ড ইট।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
চেয়ারম্যান: এস.এইচ. শিবলী ।
সম্পাদক, প্রকাশক: জাকির এইচ. তালুকদার ।
হেড অফিস: ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি নং ২, রোড নং ৩, সাদেক হোসেন খোকা রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা ১০০০ ।
ফোন: 01558011275, 02-৪৭১২২৮২৯, ই-মেইল: dtvbanglahr@gmail.com
|
|
|
|