|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প বনাম খামেনি
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যখন ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে গোলাগুলি চলছে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের বার্তা দিচ্ছেন। গত মঙ্গলবার ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দাবি করেন, ইরানের আকাশের ওপর পুরো এবং সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে।
তিনি খামেনিকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আমরা সঠিকভাবে জানি তথাকথিত ‘সর্বোচ্চ নেতা’ কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি একজন সহজ টার্গেট কিন্তু সেখানে নিরাপদ। আমরা সেখান থেকে তাকে বের করে আনব না বা হত্যা করবো না, অন্তত আপাতত নয়।
তিনি ইরানকে সতর্ক করে বলেন, আমাদের ধৈর্য কমে আসছে। তিনি ইরানকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের আহ্বানও জানান। কিন্তু তেহরানের ক্ষেত্রে এমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে বিভিন্ন ভাষার অ্যাকাউন্টে ধারাবাহিক পোস্টে খামেনি বলেছেন, ইরান ‘কখনও জায়নিস্টদের(ইহুদিবাদীদের) সাথে আপস করবে না।’
তিনি বলেন, আমরা জায়নিস্টদের (ইহুদিবাদীদের) কোনো দয়া দেখাব না। অন্য আরেকটি পোস্টে তিনি বলেছেন, যুদ্ধ শুরু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ঘোষণা করেছেন আলীর (হায়দারের) নামে যুদ্ধ শুরু হলো।
হায়দার নামটি ইসলামের ইতিহাসে ইমাম আলীর একটি পরিচিত উপনাম। যাকে শিয়া মুসলমানরা প্রথম ইমাম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রকৃত উত্তরসূরি হিসেবে মানেন।
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যখন ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে গোলাগুলি চলছে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের বার্তা দিচ্ছেন। গত মঙ্গলবার ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দাবি করেন, ইরানের আকাশের ওপর পুরো এবং সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে।
তিনি খামেনিকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আমরা সঠিকভাবে জানি তথাকথিত ‘সর্বোচ্চ নেতা’ কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি একজন সহজ টার্গেট কিন্তু সেখানে নিরাপদ। আমরা সেখান থেকে তাকে বের করে আনব না বা হত্যা করবো না, অন্তত আপাতত নয়।
তিনি ইরানকে সতর্ক করে বলেন, আমাদের ধৈর্য কমে আসছে। তিনি ইরানকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের আহ্বানও জানান। কিন্তু তেহরানের ক্ষেত্রে এমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে বিভিন্ন ভাষার অ্যাকাউন্টে ধারাবাহিক পোস্টে খামেনি বলেছেন, ইরান ‘কখনও জায়নিস্টদের(ইহুদিবাদীদের) সাথে আপস করবে না।’
তিনি বলেন, আমরা জায়নিস্টদের (ইহুদিবাদীদের) কোনো দয়া দেখাব না। অন্য আরেকটি পোস্টে তিনি বলেছেন, যুদ্ধ শুরু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ঘোষণা করেছেন আলীর (হায়দারের) নামে যুদ্ধ শুরু হলো।
হায়দার নামটি ইসলামের ইতিহাসে ইমাম আলীর একটি পরিচিত উপনাম। যাকে শিয়া মুসলমানরা প্রথম ইমাম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রকৃত উত্তরসূরি হিসেবে মানেন।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ইরানের পর এবার ইয়েমেনভিত্তিক হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এবার শুধু ইরান থেকে নয় ইয়েমেন থেকে হুথি বিদ্রোহীরাও হামলা চালিয়েছে। তবে এসব হামলা থেকে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। খবর আল জাজিরার।
এর আগে গত মঙ্গলবারও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা। এক বিবৃতিতে হুথি বিদ্রোহীরা দাবি করে যে, তারা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর জবাবে ইসরায়েল ইয়েমেনের হুথিদের দখলে থাকা হোদেইদাহ বন্দরে বোমা হামলা চালিয়েছে।
হুথিরা বলছে যে, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেই তারা ইসরায়েলের ওপর হামলা চালিয়েছে। মার্চ মাসে যুদ্ধবিরতি হওয়ার পর কিছুদিন হামলা বন্ধ ছিল। কিন্তু ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার সাথে সাথে হুথিরা আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে। এরই মধ্যে ইরান এবং ইসরায়েলের সংঘাতের মধ্যেও হুথিদের ইসরায়েলে হামলা চালানোর খবর সামনে এলো।
এদিকে শনিবার ইসরায়েলে প্রায় ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এ নিয়ে ইসরায়েলে দ্বিতীয় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তেহরান। এতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) রাতের হামলায় পুরো ইসরায়েলে সাইরেন বেজে উঠেছে। হাইফা এবং তেল আবিবসহ বেশ কিছু শহর লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইরান।
ইসরায়েলি বাহিনী ইরানজুড়ে বেসামরিক ও জ্বালানি অবকাঠামোতে বোমা হামলা চালানোর পর ইরান একযোগে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইরানি সরকারের পারমাণবিক অস্ত্র প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত স্থানগুলিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
এদিকে ইরানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত দুই দিনে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৮০ জন নিহত এবং ৮০০ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২০ জন শিশুও রয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি বলছে, ‘ট্রু প্রমিজ ৩’ অভিযানের দ্বিতীয় ধাপে ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে ইসরায়েলে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হাইফা এবং কিরিয়াত এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র মাটিতে আঘাত করেছে না কি বাধা দেওয়া হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো তুরস্ক। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় মারমারিস এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছে। তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া বলেছেন, ভূমিকম্পে একজন নিহত হয়েছে এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। খবর এএফপির।
সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া বলেন, ভূমিকম্পের সময় সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুগলা প্রদেশের লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছোটাছুটি করার সময় প্রায় ৭০ জন আহত হয়েছে। এছাড়া প্যানিক অ্যাটাকে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
তবে এই ভূমিকম্প থেকে কোনো স্থাপনা বা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার মধ্যরাত ২টা ১৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
মারমারিস শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) দূরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের সময় প্যানিক অ্যাটাকের কারণে আফরানুর গুনলু নামে এক কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সব ধরনের চেষ্টার পরেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সম্পর্ক জোরদার হয়েছে। পিয়ংইয়ং সোমবার (২ জুন) রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সামরিক সহযোগিতার বিষয়টি সমর্থন করে বলেছে, এই সম্পর্ক ইউরোপ এবং এশিয়ায় ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার’ লক্ষ্যেই জোরদার করা হয়েছে। খবর এএফপির।
গত কয়েক বছরে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা জোরদার হয়েছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আক্রমণকে সমর্থন করে অস্ত্র ও সৈন্য সরবরাহ করছে পিয়ংইয়ং, এমন অভিযোগও উঠেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রণেতা লি সিওং-কুয়েন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে বলেছেন, রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৬০০ সৈন্য নিহত এবং হাজার হাজার সেনা আহত হয়েছেন।
শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং আরও আটটি দেশ সমন্বিত একটি বহুপাক্ষিক পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠী এই সম্পর্কগুলোকে ‘বেআইনি’ বলে নিন্দা জানিয়েছে।
এর জবাবে পিয়ংইয়ং বলেছে যে, বিভিন্ন রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে এবং ইউরেশিয়ান অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই মস্কোর সঙ্গে তাদের সামরিক সহযোগিতা জোরদার হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বিবৃতিতে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ককে ‘আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের মূল ভিত্তি’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, পিয়ংইয়ং এবং মস্কো সার্বভৌমত্ব, সমতা এবং ন্যায়বিচারের প্রতি প্রকৃত সম্মানের ওপর ভিত্তি করে একটি বহু-মেরু বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
গত অক্টোবরে চালু হওয়া বহুপাক্ষিক নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণ দলটি উত্তর কোরিয়ার উপর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের উপর নজরদারি এবং প্রতিবেদন করে, যদিও এটি জাতিসংঘের বাইরে স্বাধীনভাবে কাজ করে।
উত্তর কোরিয়া গত এপ্রিলে প্রথমবারের মতো নিশ্চিত করেছে যে, তারা ইউক্রেনে মস্কোর যুদ্ধকে সমর্থন করার জন্য রাশিয়ায় সেনা মোতায়েন করেছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
লটারিতে জেতা ৪০ কোটিরও বেশি টাকা নিয়ে অন্য পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন প্রেমিকা, এমন অভিযোগে সম্প্রতি কানাডার আদালতে একটি মামলা করেছেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ, তার প্রেমিকা লটারিতে জেতা ৫০ লাখ কানাডীয় ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রায়) নিয়ে তাকে ধোঁকা দিয়ে চলে গেছেন। এ অভিযোগে ওই ব্যক্তি তার সাবেক প্রেমিকা, লটারি কর্তৃপক্ষ এবং প্রাদেশিক মদ ও লটারি করপোরেশনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
ম্যানিটোবার কোর্ট অব কিং’স বেঞ্চ-এ দায়ের করা মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, লরেন্স ক্যাম্পবেল নামে ওই ব্যক্তি ২০২৪ সালের ১৯ জানুয়ারি উইনিপেগ শহরের ক্যানকো কনভেনিয়েন্স স্টোর থেকে একটি লটারি টিকিট কেনেন। তখন তিনি ক্রিস্টাল অ্যান ম্যাককেই-এর সঙ্গে ‘বিশ্বাসযোগ্য ও প্রতিশ্রুতিশীল’ সম্পর্কে ছিলেন।
ক্যাম্পবেল অভিযোগ করেছেন, নিজের ওয়ালেট হারিয়ে যাওয়ায় তিনি টিকিটটি ম্যাককেইকে দিয়েছিলেন। পরে সেটি তার এক বন্ধুর বাড়ির মেঝেতে পাওয়া যায় এবং মোবাইল ফোনে স্ক্যান করে দেখা যায় এটি জ্যাকপট জিতেছে।
লটারি জেতার খবর জানার পর, দুজন মিলে একটি ভিডিও রেকর্ড করেন এবং টিকিট যাচাই করাতে যান। কিন্তু তখন লটারি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা নাকি ক্যাম্পবেলকে জানান, তার বৈধ সরকারি আইডি না থাকায় তিনি পুরস্কার দাবি করতে পারবেন না। ফলে ম্যাককেইকে টিকিটের মালিক হিসেবে উপস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যাককেই বলেন, টিকিটটি ছিল তার জন্মদিনের উপহার। যদিও ক্যাম্পবেল বলেন, টিকিটটি মূলত তিনি কিনেছিলেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, লটারি জেতার পর ম্যাককেই ৫০ লাখ ডলার নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করেন এবং এরপর ক্যাম্পবেলের সঙ্গে থাকা হোটেল রুমে আর ফেরেননি। পরে ক্যাম্পবেল তাকে খুঁজে পান এক অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে এবং সেখান থেকেই তাদের সম্পর্কের ইতি ঘটে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ম্যাককেই এরপর ক্যাম্পবেলের ফোন ধরেননি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্লক করেন এবং তার বিরুদ্ধে একটি প্রোটেকশন অর্ডার জারি করান।
ক্যাম্পবেলের আইনজীবী চ্যাড প্যান্টিং এক ইমেইলে বলেন, এটি কেবল একটি প্রেমঘটিত প্রতারণা নয়, বরং প্রাদেশিক লটারি ব্যবস্থার ভুল দিক নির্দেশনার ফল।
এ মামলার কোনো অভিযোগ এখনো আদালতে প্রমাণিত হয়নি। ম্যাককেইর আইনজীবী কনর উইলিয়ামসন জানিয়েছেন, তার মক্কেল সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং খুব শিগগিরই জবাবি বিবৃতি দাখিল করবেন।
এদিকে ক্যাম্পবেলের দাবি, লটারি কর্তৃপক্ষ তাকে যথাযথভাবে সতর্ক করেনি এবং তাকে ভুল পরামর্শ দিয়েছে।
ম্যানিটোবা লিকার ও লটারি করপোরেশন এবং ওয়েস্টার্ন কানাডা লটারি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র বুধবার থেকে ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর বর্তমান শুল্ক হার ২৫ শতাংশ থেকে দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশ করবে। পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গে এক সমাবেশে বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেন, এই পদক্ষেপ স্থানীয় ইস্পাত শিল্প এবং জাতীয় সরবরাহ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে, একই সঙ্গে তা চীনের ওপর নির্ভরতা কমাবে। খবর বিবিসির।
ট্রাম্প আরও বলেন, ইউএস স্টিল এবং জাপানের নিপ্পন স্টিলের মধ্যে একটি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই অঞ্চলের ইস্পাত উৎপাদনে ১৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হবে। যদিও তিনি পরে সাংবাদিকদের বলেছেন যে, তিনি এখনও চূড়ান্ত চুক্তিটি দেখেননি বা অনুমোদন করেননি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে ট্রাম্পের শুল্ক নীতির সর্বশেষ ঘোষণা এটি। ইস্পাত কর্মী দিয়ে পরিপূর্ণ এক জনসভায় ট্রাম্প বলেন, কোনো ছাঁটাই হবে না, আউটসোর্সিংও একেবারেই নয়। তিনি বলেন, প্রত্যেক মার্কিন ইস্পাতকর্মী খুব শিগগির ৫ হাজার ডলারের প্রাপ্য বোনাস পাবেন।
যুক্তরাষ্ট্র-জাপান বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ইস্পাত শ্রমিকদের বড় উদ্বেগের জায়গা ছিল জাপান কীভাবে শ্রমিক ইউনিয়নের বেতন ও নিয়োগ-সংক্রান্ত চুক্তি মানবে তা নিয়ে।
ট্রাম্প তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ইস্পাত উৎপাদনকারী ইউএস স্টিলকে বাঁচিয়েছেন। তিনি ইস্পাত আমদানিতে শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করার পেছনে ইউএস স্টিলের টিকে থাকার গুরুত্বের কথা বলেছেন।
৫০ শতাংশ শুল্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা আর এই সীমা অতিক্রম করতে পারবে না। আমরা পেনসিলভানিয়া ইস্পাতকে এমন অবস্থানে নিয়ে যাব যা আগে কখনো হয়নি।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
এই মাসের শুরুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র সামরিক সংঘর্ষ শুরু হয়, যা তিন দিনেরও বেশি স্থায়ী ছিল। যা গত কয়েক দশকের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচিত। এরপর ১০ মে একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই পক্ষ।
তবে ভারতশাসিত কাশ্মীরের একটি প্রাণঘাতী হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঠিক পরদিন সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে ভারত।
এর জবাবে পাকিস্তান সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তানের প্রাপ্য পানির প্রবাহ বন্ধ বা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার যে কোনো প্রচেষ্টা এবং নিম্নপ্রবাহ অঞ্চলের অধিকার হরণকে যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
কিন্তু ভারত এখনো একতরফাভাবে চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেনি, যার ফলে পাকিস্তানের অর্থনীতির ওপর গুরুতর হুমকি তৈরি হয়েছে, কারণ দেশটির কৃষি সিন্ধুর পানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। এখন এ বিষয়ে পাকিস্তানের হাতে চারটি বিকল্প আছে।
ভারত ও পাকিস্তান যখন ১৯৬০ সালে সিন্ধু পানি চুক্তিতে সই করে, তখন এই চুক্তির মধ্যস্থতা করেছিল বিশ্বব্যাংক। বর্তমান সংকটে পাকিস্তান আবারও চায় যে, বিশ্বব্যাংক দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করুক।
তবে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা চলতি মাসে ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, বিশ্বব্যাংক বিরোধে সরাসরি সালিশ বা রায় দেবে না, তবে চুক্তির বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া সক্রিয় হলে সহায়তা করা হবে।
বিশ্বব্যাংকের এই অবস্থানে কিছুটা আশার আলো দেখছে পাকিস্তান সরকার। একজন সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা নিক্কেই এশিয়াকে জানান, পাকিস্তানের একাধিক সরকারি বিভাগ বিশ্বব্যাংকের কাছে একটি আনুষ্ঠানিক মামলা উপস্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের উচিত এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাংকের কাছে সরকারিভাবে মধ্যস্থতা চাওয়া, কারণ তাদের মামলা আইনগতভাবে শক্তিশালী।
ইসলামাবাদভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অব পলিসি স্টাডিজ-এর চেয়ারম্যান খালিদ রহমান নিক্কেইকে বলেন আন্তর্জাতিক আইনে উপপ্রবাহ ও উজান অঞ্চলের অধিকার ও দায়িত্ব স্পষ্টভাবে নির্ধারিত। ভারত এগুলো লঙ্ঘন করছে এবং পাকিস্তান আইনগতভাবে এর প্রতিক্রিয়া জানানোর পূর্ণ অধিকার রাখে।
যদি বিশ্বব্যাংক সাহায্য করতে না পারে, তাহলে পাকিস্তান অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে যেতে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তন পরামর্শক নাসির মেমন বলেন, পাকিস্তান ‘পার্মানেন্ট কোর্ট অব আর্বিট্রেশন’ (দ্য হেগ)-এ যেতে পারে, যা চুক্তিতেই উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও পাকিস্তান আন্তর্জাতিক আদালত এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রতিকার চাইতে পারে।
তবে অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা জানান যে, আন্তর্জাতিক আইনের প্রক্রিয়া খুব ধীরগতিতে চলে এবং এতে দ্রুত সমাধান পাওয়া কঠিন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যদি নয়া দিল্লি রাজি হয়, তাহলে পাকিস্তান চুক্তি নিয়ে ভারতের সঙ্গে সরাসরি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করতে পারে।
ইসলামাবাদভিত্তিক ইনস্টিটিউট অব পলিসি স্টাডিজের চেয়ারম্যান খালিদ রহমান বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি মানেই মনোভাবগত দ্বন্দ্বের অবসান নয়। তবে চুক্তি নিয়ে আলোচনা হওয়ার আশা রয়েছে।
তিনি নিক্কেই এশিয়াকে বলেন, যদি পাকিস্তান বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যায় তাহলে তা আলোচনাকে জটিল করে তুলতে পারে।
সাম্প্রতিক সংঘাতের পর ভারতবিরোধী কূটনৈতিক সমর্থন পেতে একটি সংসদীয় দল বিভিন্ন দেশে পাঠানোর ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। ভারতের পক্ষ থেকেও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কারাচির বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনিস আহমদ নিক্কেইকে বলেন, কূটনৈতিক প্রচারণায় সফল হতে চাইলে পাকিস্তানের পানি চুক্তি নিয়ে মামলা যত্নসহকারে প্রস্তুত করা আবশ্যক।
তিনি বলেন, অতীতে পাকিস্তান তার কেস যথাযথ ও প্রফেশনাল উপায়ে উপস্থাপন করতে পারেনি, যার ফলে তা অবহেলা বা গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
গত কয়েকদিন ধরে ইউক্রেনে বড় ধরনের হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনে মস্কোর বিমান হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর খুশি নন। তিনি পুতিনকে নিয়ে এক প্রকার তিরস্কার করে বলেছেন, তার (পুতিন) কী হয়েছে? সে অনেক মানুষকে হত্যা করছে। তিনি পুতিনকে ‘একদম পাগল’ বলেও উল্লেখ করেছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এর আগে বলেছিলেন যে, রাশিয়ার সাম্প্রতিক হামলার বিষয়ে ওয়াশিংটনের ‘নীরবতা’ পুতিনকে উৎসাহিত করছে। মস্কোর ওপর আরও নিষেধাজ্ঞাসহ জোরালো চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
গত রোববার রাতে ইউক্রেনে রাশিয়া ৩৬৭টি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর কমপক্ষে ১২ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছে। ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ আক্রমণ শুরু করার পর এটা ছিল এক রাতে সর্বোচ্চ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার ঘটনা।
সোমবার ভোরেও ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে আবারও ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। মেয়র ইহোর তেরেখভ জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে এক শিশুসহ কমপক্ষে তিনজন আহত হয়েছে।
রোববার রাতে নিউ জার্সিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প পুতিন সম্পর্কে বলেন, আমি তাকে অনেক দিন ধরে চিনি, সবসময় তার সাথেই মিশেছি, কিন্তু সে শহরে রকেট পাঠাচ্ছে এবং মানুষ হত্যা করছে এবং আমি এটা মোটেও পছন্দ করি না।
রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছেন কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প উত্তরে বলেন, অবশ্যই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর আগেও বারবার এটি করার হুমকি দিয়েছেন কিন্তু এখনও মস্কোর বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেননি।
এরপরেই নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোস্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘পুতিন একেবারে পাগল হয়ে গেছেন।’ তিনি আরও বলেন, আমি সবসময় বলেছি যে তিনি (পুতিন) পুরো ইউক্রেন চান, কেবল এর এক টুকরো নয় এবং সম্ভবত এটি সঠিক প্রমাণিত হচ্ছে। তবে যদি তিনি তা করেন তবে এটি রাশিয়াকে পতনের দিকে নিয়ে যাবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নিয়েও কড়া ভাষায় কথা বলেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, জেলেনস্কি যেভাবে কথা বলছেন সেভাবে কথা বলে তিনি তার দেশের কোনো উপকার করছেন না। তিনি বলেন, তার (জেলেনস্কির) মুখ থেকে বেরোনো সবকিছুই সমস্যার সৃষ্টি করছে। আমি এটা পছন্দ করি না এবং এটা বন্ধ করাই ভালো।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ভিয়েতনামের অর্থনীতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের জন্য ঈর্ষার কারণ হতে পারে। গত ১৫ বছরে এটি বার্ষিক গড়ে ৬ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি দেখছে। তারপরেও এটি এখন একটি মৌলিক সংস্কারের জন্য জরুরি অবস্থায় রয়েছে।
৫০ বছর আগে শেষ হওয়া যুদ্ধের পর ভিয়েতনামের অর্থনীতি অনেকদূর এগিয়েছে। প্রথমদিকে কমিউনিস্ট সরকার বেসরকারি খাতকে লিকুইডেট করার চেষ্টা করেছিল। এর ফল ছিল ঘাটতি, রেশনিং এবং দুর্ভিক্ষ। ১৯৮০-এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের অর্থনৈতিক সংকটে ভিয়েতনামের সাহায্য কমে যায়, যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তোলে। বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ৪৪৫ শতাংশে পৌঁছায় এবং অর্ধেক ভিয়েতনামী দারিদ্র্যে বসবাস করতো।
গত ৪০ বছরে ভিয়েতনামের মাথাপিছু জিডিপি ১৮ গুণ বেড়েছে এবং দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভিয়েতনামের সস্তা শ্রম, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাসহ নানা কারণে প্রচুর কারখানা নির্মাণ করেছে।
তবুও দেশটির এই অর্থনৈতিক উত্থানের পেছনে থাকা শক্তিগুলো এখন ধীর বা বিপরীত দিকে যাচ্ছে। সস্তা শ্রমের উৎস কমে আসছে এবং মজুরি বাড়ছে। যুক্তরাষ্টের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যের পরিবর্তে ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৬ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিচ্ছেন। আমেরিকা এবং চীন ভিয়েতনামের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। কিন্তু উভয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে।
বিদেশি কারখানাগুলোই ভিয়েতনামের সাম্প্রতিক সমৃদ্ধির মূল ভিত্তি। ২০২৩ সালে বার্ষিক সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ১৯ বিলিয়ন ডলার। সে বছর বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো মোট দেশজ উৎপাদনের এক-পঞ্চমাংশের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। যেখানে ১৯৯৫ সালে তা ছিল মাত্র ৬ শতাংশ। এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী হচ্ছে স্যামসাংয়ের। এর কারখানাগুলোতে প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার কর্মচারী কাজ করে এবং তারা স্যামসাং-এর অধিকাংশ স্মার্টফোন অ্যাসেম্বল করে। ২০০৭ সাল থেকে দেশটির রপ্তানি আটগুণ বেড়ে বছরে ৩৮৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে ভিয়েতনাম লুইস টার্নিং পয়েন্ট-এ পৌঁছেছে, যেখানে উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলো গ্রামীণ শ্রমের উদ্বৃত্ততা শেষ করে এবং মজুরি দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০১৪ থেকে ২০২১ পর্যন্ত প্রতিবছর ১০ লাখ কৃষি সম্পর্কিত চাকরি হারিয়েছে। ম্যানুফ্যাকচারিখাতে শ্রম খরচ এরই মধ্যে ভারত বা থাইল্যান্ডের চেয়ে বেশি এবং ২০২৯ সালের মধ্যে তা আরও ৪৮ শতাংশ বাড়বে বলে ধারণা করছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। এর ফলে ভিয়েতনাম একটি ক্লাসিক মিডেল-ইনকাম ট্র্যাপ-এ পড়ে যেতে পারে।
অন্যান্য চ্যালেঞ্জগুলো আরও আশঙ্কার বিষয়। শুধু অপ্রয়োজনীয় গ্রামীণ শ্রমিক নয়, ২০৩০ সালের মধ্যে কর্মক্ষম জনসংখ্যার বিশাল একটি অংশের বয়সও বেড়ে যাবে। হো চি মিন সিটি এবং হ্যানয় বিশ্বে সবচেয়ে বন্যাপ্রবণ শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। মেকং ডেল্টার উর্বর কৃষিজমি প্রতি বছর ৫০০ হেক্টর হারে কমছে। আর সবচেয়ে বড় হুমকি ট্রাম্পের সম্ভাব্য শুল্ক। বিনাক্যাপিটাল-এর মাইকেল কোকালারি অনুমান করেছেন যে এসব ট্যারিফ দীর্ঘমেয়াদে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫ শতাংশ পয়েন্ট কমিয়ে দেবে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত নতুন করছাড় বিল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অর্থনৈতিক উদ্বেগ বাড়ছে। হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের বাজেট কমিটি সম্প্রতি এই বিলটি অনুমোদন করেছে, যা রিপাবলিকান পার্টি আগামী সপ্তাহে পূর্ণসভায় পাস করাতে চায়। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি পাস হলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
বর্তমানে কোনো বড় অর্থনৈতিক সংকট না থাকা সত্ত্বেও গত এক বছরে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ঋণ করেছে প্রায় দুই ট্রিলিয়ন ডলার, যা দেশটির জিডিপির ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এ অবস্থায় গত ১৬ মে মার্কিন অর্থনীতির সর্বশেষ ‘ট্রিপল-এ’ ক্রেডিট রেটিং প্রত্যাহার করে নেয় সংস্থা মুডিস। ১৯ মে, ৩০ বছরের ট্রেজারি বন্ডের সুদের হার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়—২০০৭ সালের পর দ্বিতীয়বার এমন ঘটনা ঘটলো।
অর্থনীতিবিদদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা ঋণের সীমা নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ খেলায় মেতেছেন। গত দুই দশকে দেশটির নিট সরকারি ঋণ জিডিপির ১০০ শতাংশে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে করছাড় বিল আরও অন্তত তিন থেকে চার ট্রিলিয়ন ডলার বাড়তি ঘাটতির দিকে ঠেলে দেবে যুক্তরাষ্ট্রকে।
বিলে মূলত ট্রাম্পের ২০১৭ সালের অস্থায়ী করছাড়কে স্থায়ী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করছাড়ও যোগ করা হয়েছে, যেগুলো ২০২৮ সালে ‘মেয়াদোত্তীর্ণ’ হবে এমন দেখানো হলেও বাস্তবে সেগুলো স্থায়ী রূপ পাবে বলে ধারণা। করছাড়ের পাশাপাশি মেডিকেইড ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানির জন্য দেওয়া ভর্তুকি কাটছাঁট করার কথাও আছে বিলে।
বিশ্লেষকদের মতে, এসব পদক্ষেপ মূলত কাগজে কলমে খরচ কমানোর ভান হলেও বাস্তবে বাজেট ঘাটতি বাড়াবে। বর্তমানে সরকারি ঋণের সুদ পরিশোধে বছরে এক ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ হচ্ছে, যা প্রবীণদের স্বাস্থ্য খরচের সমান। এই বিল পাস হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
রিপাবলিকানরা আশা করছে, এই ঘাটতি পূরণ হবে শুল্ক আদায় ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের শুল্কনীতি ইতোমধ্যে ডলার-ভিত্তিক সম্পদে আস্থা কমিয়েছে এবং নির্ধারিত রাজস্ব আয় অনিশ্চিত। আর নতুন করছাড়ে অর্থনীতির গতি বাড়বে এমন সম্ভাবনাও নেই। বরং তা সামগ্রিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
২০১৭ সালে ট্রাম্পের কর সংস্কার অন্তত করপোরেট খাতে স্থায়ী ছাড় দিয়েছিল যা কিছুটা প্রণোদনা হিসেবে কাজ করেছিল। কিন্তু এবারের করছাড়ের বেশিরভাগ অংশই চটকদার প্রতিশ্রুতি মাত্র, যেমন বকশিশ বা ওভারটাইমের আয়ের ওপর করমুক্তির প্রস্তাব, যা দীর্ঘমেয়াদে ফলপ্রসূ নয়।
দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, এই বিল পাস না করাই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য মঙ্গলজনক। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ‘যখন রাজনীতিকরা বাস্তবতা স্বীকার করতে ব্যর্থ হন, তখন ঋণবাজার তা স্বীকার করিয়ে দেয়—এবং সেই স্বীকারোক্তি হয়ে ওঠে হঠাৎ ও যন্ত্রণাদায়ক।’ তাদের মতে, বাজেট ঘাটতি মোকাবেলায় দেশটিকে খরচ কমানো ও কর বাড়ানোর দিকেই যেতে হবে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ভারতের বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অবৈধ অভিবাসনে সহায়তার অভিযোগে এসব ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারা ভারত-ভিত্তিক ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর মালিক এবং অন্যান্য কর্মীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। এসব এজেন্সি সচেতনভাবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনে সহায়তা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভারতের মার্কিন মিশনের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের অধীনে ভারতের ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলোর সঙ্গে যুক্ত অনির্দিষ্ট সংখ্যক লোকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। তবে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ওয়াশিংটন প্রায়ই লক্ষ্যবস্তুতে থাকা ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ না করেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ব্রুস বলেন, আমরা ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর মালিক, নির্বাহী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ অব্যাহত রাখব যেন অবৈধ মানবপাচার নেটওয়ার্কগুলো বন্ধ করা যায়। তবে ট্রাভেল এজেন্টরা কীভাবে অবৈধ অভিবাসনে সহায়তা করছে সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনের ওপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপক কঠোর পদক্ষেপ এবং দেশে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কারের প্রচেষ্টার মধ্যেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
নয়াদিল্লিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস বারবার যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণকারী ভারতীয় নাগরিকদের তাদের অনুমোদিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান না করার জন্য সতর্ক করে দিয়েছে। অন্যথায় এসব ভারতীয় নাগরিককে নির্বাসন এবং দেশে প্রবেশের ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। রোববার (১৮ মে) একদিনেই উপত্যকাটিতে ১৫১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর আহতের সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার ছাড়িয়েছে।
শনিবার (১৭ মে) থেকে কাতারের রাজধানী দোহায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই ইসরায়েলি হামলায় এত প্রাণহানির খবর পাওয়া গেল।
এদিকে, সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে একটি হাসপাতাল অবরোধ করে রেখেছে। বেইত লাহিয়ায় অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের রোগী, চিকিৎসা কর্মী এবং সেবা সামগ্রীর সরবরাহে বাধা দেওয়া হয়েছে।
এই সপ্তাহে গাজায় কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক বিমান হামলাও দেখা গেছে। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তাদের সেনারা উত্তর গাজার সন্ত্রাসী অবকাঠামোগত স্থানগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে, যার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের কাছাকাছি এলাকাও রয়েছে।
উত্তর গাজার আল-আওদা বেসরকারি হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ সালহা জানান, ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হলে চিকিৎসা সেবার ওপর প্রভাব পড়বে। আল-আওদা অক্সিজেনের মজুদ ও নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের জন্য ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন।
এছাড়া খান ইউনিসের দুটি বৃহত্তম হাসপাতাল নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স ও ইউরোপীয় হাসপাতাল ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় হাসপাতালটির নিচে একটি কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনের অভিযোগ করেছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ভারতের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সংঘাতে চীনা অস্ত্র ব্যবহারের এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে পাকিস্তান। দেশটির দাবি, তারা চীনের তৈরি জে-১০সি যুদ্ধবিমান এবং পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে গত ৭ মে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি ফরাসি নির্মিত ‘রাফাল’ এবং দুটি পুরোনো রুশ নির্মিত যুদ্ধবিমান।
পাকিস্তানের বিমানবাহিনী জানায়, ১১৪টি যুদ্ধবিমানের অংশগ্রহণে এই সংঘর্ষ এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে এবং এটি সম্পূর্ণরূপে ‘দৃষ্টির বাইরে’ থেকে পরিচালিত হয়।
ভারত এসব দাবি সরাসরি অস্বীকার করেনি, তবে জানিয়েছে—সব পাইলট নিরাপদে রয়েছেন এবং পাকিস্তানের কিছু ‘উচ্চ-প্রযুক্তির’ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছে। পাকিস্তান অবশ্য তা অস্বীকার করে বলেছে, কেবল একটি বিমানে সামান্য ক্ষতি হয়েছে।
পাকিস্তানের পক্ষে চীনা অস্ত্র ব্যবহার নতুন কিছু নয়। তবে এই প্রথমবারের মতো চীনের তৈরি আধুনিক যুদ্ধবিমান প্রকৃত সংঘাতে ব্যবহার করা হলো। আর রাফালের জন্য এটি রণক্ষেত্রে প্রথম ক্ষতির ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
চীনের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় সরাসরি কিছু বলা না হলেও, গত ১২ মে দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা শিল্পবিষয়ক প্রকাশনা চায়না স্পেস নিউজ জানায়, পাকিস্তান একটি নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে আকাশ প্রতিরক্ষা থেকে লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করে এবং অন্য বিমান ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে সেগুলো ধ্বংস করে। যদিও এতে সরাসরি চীনা সরঞ্জামের কথা বলা হয়নি, পাকিস্তানের কাছে থাকা চীনা রাডার ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সম্ভাব্য ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া যায়—যা ভারত দাবি করেছে, তারা ব্যাহত করেছে।
এই সংঘর্ষ ভারতের জন্য বেশ উদ্বেগজনক। বিগত এক দশকে ভারত ৬২টি রাফাল সংগ্রহ করেছে এবং আরও কেনার চিন্তাভাবনা করছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান ২০০৭ সাল থেকে চীনের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি ১৫০টি জেএফ-১৭ সংগ্রহ করেছে এবং ২০২২ সালের পর ২০টি জে-১০সি কিনেছে।
এ ঘটনার প্রভাব চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্বেও পৌঁছাতে পারে, কারণ চীন নিজের ব্যবহারের জন্যও জে-১০সি ব্যবহার করে, বিশেষ করে তাইওয়ান ইস্যুতে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক পরিকল্পনাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে। এমনকি যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী চীনা কোম্পানির শেয়ারের মূল্যও এরই মধ্যে বেড়েছে।
তবে পাকিস্তানের দাবি সত্য হলেও, তা যে রাফাল বা পশ্চিমা যুদ্ধবিমানের চেয়ে জে-১০সি শ্রেষ্ঠ, তার প্রমাণ নয় বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তবু বৈশ্বিক সামরিক মহলে বিষয়টি নিয়ে জোরালো আগ্রহ তৈরি হয়েছে এবং অনেকেই নিজেদের কৌশল পুনর্মূল্যায়নের পথে এগোচ্ছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি অর্থবিল কংগ্রেসে প্রাথমিক পর্যায়ে তার দলেরই কয়েকজন আইন প্রণেতা আটকে দিয়েছেন। ট্রাম্প নিজেই একে ‘বিশাল, সুন্দর বিল’ হিসেবে প্রচার করে আসছিলেন। আরও ব্যয় কমানোর দাবি করে বিলটির বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে যোগ দিয়ে এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন রিপাবলিকান পাঁচজন। এতে করে ট্রাম্পের বাজেট কাটছাঁট করার যে এজেন্ডা তা প্রাথমিকভাবে বড় ধাক্কা খেল। খবর বিবিসির।
ট্রাম্প অনেকবারই আইন প্রণেতাদের এই বিলটি পাসের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছিলেন। ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, রিপাবলিকান দলে দৃষ্টি আকর্ষণ কারো দরকার নেই। কথা বলা বন্ধ করুন এবং এটি সম্পন্ন করুন।
বিলটি পাস হওয়ার সম্ভাবনাও একবারেই শেষ হয়ে যায়নি। তবে এবার প্রাথমিক পর্যায়ে এর ব্যর্থতা এ বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য প্রথম বড় আঘাত।
রিপাবলিকানদের মধ্যে বিলটির সমর্থনের ভিন্ন ভিন্ন দিক আছে। কিছু কট্টরপন্থি বাজেট কাটছাঁটকে এগিয়ে নিতে চান। আবার কেউ কেউ স্বাস্থ্যসেবার মতো কর্মসূচিগুলোতে অর্থ কমানোর বিষয়ে উদ্বিগ্ন।
যে পাঁচজন রিপাবলিকান এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন তারা বলছেন, হাউজ স্পিকার মাইক জনসন মেডিকএইড কর্মসূচিতে আরও ব্যয় কমানোতে রাজি না হলে তারা এই বিলের বিরোধিতা অব্যাহত রাখবেন।
মেডিকএইড নিম্ন আয়ের আমেরিকানদের জন্য নেওয়া একটি কর্মসূচি। তাদের নির্বাচনী এলাকার অনেকেই এর ওপর নির্ভরশীল। তারা একই সঙ্গে চান যে ডেমোক্র্যাটদের সময়ে করা ‘পরিবেশ বান্ধব জ্বালানিতে কর অব্যাহতির’ বিষয়টি বাতিলের প্রস্তাব এই বিলে অন্তর্ভুক্ত হোক।
এই বিলের বিপক্ষে ভোট দেওয়া টেক্সাসের রিপাবলিকান চিপ রায় বলেছেন, এই বিলটি খুব দুর্বল। প্রস্তাবিত বিলে করছাড় কিছুটা সম্প্রসারণ করার কথা বলা হয়েছে। এটি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময়ও বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। সমালোচকরা বলছেন, এই বিল ধনীদের সুবিধা দেবে।
ডেমোক্র্যাটরা পুরোপুরিভাবেই বিলটির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা স্বাস্থ্যসেবার কর্মসূচিগুলোতে খরচ কমানোর বিষয়টি বিবেচনার দাবি করেছেন। বিশেষ করে তারা কম খরচে স্বাস্থ্য সেবা সুবিধায় কাটছাঁটের বিরোধী, যে প্রকল্পে লাখ লাখ আমেরিকান ভর্তুকি মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে থাকেন।
পেনসিলভানিয়ার ডেমোক্র্যাট ব্রেনডান বয়লে বলেন, আর কোনো বিল, আইন বা ইভেন্ট অতীতে এভাবে লাখ লাখ আমেরিকানের স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নষ্টের কারণ হয়নি, এমনকি তীব্র মন্দার সময়েও হয়নি। কংগ্রেসের জয়েন্ট ট্যাক্স কমিটির মতে, বিলটি পাস হলে আগামী দশ বছরে কর ছাড়ের মূল্য হবে ৩ দশমিক ৭২ ট্রিলিয়ন ডলার।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ভারত-পাকিস্থানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হলেও দুদেশের মধ্যে উত্তেজনার মাত্রা এখনো পুরোপুরি হ্রাস পায়নি। এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সুরক্ষা ব্যবস্থা আরো মজবুত করার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী মহড়া চালিয়েছে।
এবার পশ্চিমবঙ্গের ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্প এবং ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্প সংলগ্ন রেললাইনে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ, সিআইএসএফ, আইবি, স্থানীয় পুলিশ কৃত্রিম মহড়া চালিয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য সুরক্ষা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
ভারত সরকারের নির্দেশে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের সংযোগকারী ফারাক্কা ব্যারেজ অঞ্চলকে আরো সুরক্ষিত করার জন্যই এই আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ মে) সেনাবাহিনীর উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে, সিআইএসএফ, বিএসএফ, আইবি, স্থানীয় পুলিশ, এবং রাজ্য সরকারের হাসপাতালের কর্মকর্তা এবং ফারাক্কা ব্যারেজের কর্তৃপক্ষ।
ফারাক্কা বাঁধের মতো গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলে যেন কোনো ধরনের নাশকতামূলক কার্যকলাপ না ঘটে সেদিকে নজর দেওয়ার জন্যই এই মহড়া বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
এছাড়াও যে কোনো ক্ষতিকারক পরিস্থিতিতে প্রত্যেকে একসঙ্গে নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ে রেখে কাজ করবে তার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।
সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের কমান্ড্যান্ট মুকেশ কুমার বলেন, দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের একমাত্র সংযোগ রক্ষাকারী ফারাক্কা ব্যারেজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এখানে কোন ধরনের অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হলে তা আমাদের দেশের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। তাই এখানকার সুরক্ষা আগের চেয়ে মজবুত করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র সীমান্তবর্তী অঞ্চলই যে গুরুত্বপূর্ণ তা নয়।
সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের কমান্ড্যান্ট মুকেশ কুমার আরও বলেন, দেশের ভেতরেও এমন অনেক অঞ্চল রয়েছে যা খুবই স্পর্শকাতর। সেসব অঞ্চলের সুরক্ষার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। তাই আমাদের মাল্টি এজেন্সি মক এক্সারসাইজের আয়োজন করা হয়েছে।
ফারাক্কা ব্যারেজের আশেপাশে বসবাসকারী স্থানীয় লোকজনের প্রতি সহযোগিতার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, এখনকার স্থানীয় লোকজন যদি ফারাক্কা ব্যারেজ সংলগ্ন এলাকায় কোনো ধরনের সন্দেহজনক গতিবিধি দেখতে পান তাহলে সে বিষয়ে সুরক্ষা এজেন্সিগুলোকে জানানোর আহ্বান করছি।
এই মহড়ার পর ফারাক্কা ব্যারেজের সুরক্ষার জন্য আগের চেয়ে আরও বেশি সংখ্যক সিআইএসএফ জওয়ান মোতায়েন করা হবে। এর আগে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার বাগরাকোটা তিস্তা ফায়ারিং রেঞ্জে ভারতীয় সেনাবাহিনী বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে মহড়া চালায়। যার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘তিস্তা প্রহর’। ওই মহড়ার পর ফারাক্কা ব্যারেজে মহড়া চালানো হলো।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
চীনজুড়ে চলছে বিজয়ের উচ্ছ্বাস। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে ৯০ দিনের জন্য সাময়িক বিরতির সিদ্ধান্তকে ‘জাতীয় সাফল্য’ হিসেবে দেখা হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প একে তার প্রশাসনের ‘কামিকাজে’ কৌশলের সফলতা বলে দাবি করেছেন। কিন্তু চীনের দৃষ্টিকোণ একেবারেই ভিন্ন—তাদের মতে, মার্কিন বাজারে পতন এবং ভোক্তাদের ক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রই নতি স্বীকার করেছে।
চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম শিনহুয়া একটু সংযতভাবে বলেছে, ভবিষ্যতের পথ দু’পক্ষকেই মেধা ও সাহস দিয়ে গড়তে হবে। তবে জাতীয়তাবাদী বিশ্লেষক হু শিজিন সরাসরিই বলেছেন, এটি একটি মহান বিজয়।
চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত ১২৫ শতাংশ ‘পারস্পরিক’ শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে, অন্তত ৯০ দিনের জন্য। যদিও ফেন্টানাইল পাচারে চীনের ভূমিকার জন্য আরোপিত ২০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক বহাল থাকবে, তবে তার ‘নির্দিষ্টতা’ ইঙ্গিত দেয় যে, তা আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা হতে পারে। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ৮০০ ডলারের কম মূল্যের ই-কমার্স প্যাকেটের ওপর থাকা ১২০ শতাংশ শুল্কও অর্ধেকে নামিয়েছে।
চীন দিয়েছে তুলনামূলকভাবে কম। তারা মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়েছে—ফেন্টানাইল বিষয়ক শুল্ক বাদ দিলে যা যুক্তরাষ্ট্রের হারের সঙ্গে সমান। চীন বোয়িং প্লেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে, যা তাদের নিজেদেরই প্রয়োজন। বিরল খনিজ রপ্তানির ওপর সীমাবদ্ধতাও কিছুটা শিথিল হতে পারে।
চুক্তির ফলে আংশিকভাবে বাণিজ্য ফের শুরু হবে। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে—যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘস্থায়ী লড়াই সহ্য করতে পারে না। উইচ্যাটে মার্কিন দূতাবাসের ঘোষণার নিচে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘সাম্রাজ্যবাদীরা কাগুজে বাঘ মাত্র।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘যখন মার্কিন সুপারমার্কেটে জিনিসপত্র ফুরিয়ে যায়, তখন তারা আর নিতে পারে না।’
বিশ্বের দক্ষিণাংশে (গ্লোবাল সাউথ) চীনের এই অবস্থান কূটনৈতিকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। শেনঝেনের চাইনিজ ইউনিভার্সিটির ঝেং ইয়ংনিয়ান বলেছেন, কারও তো দাঁড়াতে হবে এবং বলতে হবে, আধিপত্যবাদ অনুচিত।
গত ১৩ মে লাতিন আমেরিকার নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং বলেন, চীনকে সত্যিকারের বহুপাক্ষিকতাকে এগিয়ে নিতে হবে এবং আন্তর্জাতিক ন্যায় ও ন্যায্যতাকে সমুন্নত রাখতে হবে।
এই চুক্তির মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও চীনের কাছে পৌঁছেছে—যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ কিংবা তাইওয়ান ইস্যুতে সামরিক সংঘাতে জড়াতে যতটা আগ্রহী বলে মনে করা হয়, বাস্তবে তা অনেক কম। ট্রাম্প যদিও বলেছিলেন, ‘এটি ঐক্য এবং শান্তির জন্য দারুণ হবে।’ পরে মার্কিন সরকার স্পষ্ট করে জানায়, তিনি মূলভূমি চীন ও তাইওয়ানের পুনর্মিলন বোঝাননি।
বাণিজ্যযুদ্ধ স্থগিত হলেও কিছুটা উদ্বেগ রয়ে গেছে চীনের জন্যও। প্রথমত, চুক্তি এতটাই চীনের পক্ষে গেছে যে, ট্রাম্প তার সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেন। এপ্রিলের ২ তারিখে ট্রাম্প যেভাবে ‘মুক্তির দিন’ ঘোষণা করেছিলেন, তাতে অনেকেই দীর্ঘমেয়াদি নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা করেছিলেন। কিন্তু মাত্র ছয় সপ্তাহ পর ট্রাম্প সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। ফলে তিনি হয়তো আবার মত বদলাতে পারেন।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ৯০ দিনের এই সময়কালে জাহাজগুলো দ্রুত পণ্য সরবরাহ করছে, যা এই অনিশ্চয়তারই ইঙ্গিত দেয়। ট্রাম্পের নতুন বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রকে ভয় দেখানো সহজ, কিন্তু স্থায়ী চুক্তি করা কঠিন।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
চেয়ারম্যান: এস.এইচ. শিবলী ।
সম্পাদক, প্রকাশক: জাকির এইচ. তালুকদার ।
হেড অফিস: ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি নং ২, রোড নং ৩, সাদেক হোসেন খোকা রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা ১০০০ ।
ফোন: 01558011275, 02-৪৭১২২৮২৯, ই-মেইল: dtvbanglahr@gmail.com
|
|
|
|